শেরপুর সদর উপজেলা শেরপুর জেলার অন্যতম একটি উপজেলা এর আয়তন ৩৬০.০১ বর্গমিটার।
থানা ও উপজেলা সৃষ্টির তারিখ : থানা ১৭৯০ খ্রি: এবং উপজেলা সৃষ্টি ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮৪ খ্রি:।
স্থানীয় ইতিহাস:
দেশের অন্যান্য এলাকার মতোই এ অঞ্চল পর্যায়ক্রমে গ্রাম পঞ্চায়েত/শালিস বোর্ড, ইউনিয়ন বোর্ড, ইউনিয়ন পরিষদ দ্বারা বিভক্ত হয়ে আসছে।
জামালপুর থেকে শেরপুর ব্রহ্মপুত্র নদীতে জলপথে ১০ মাইল পারাপারের দশকাহন (কড়ি) পরিমাণ নৌকা ভাড়ার সূত্রে এ এলাকার নাম ছিল দশকাহনিয়া। মোগল আমলে সম্রাট আকবরের সময় সুবে বাংলার ‘বাজুহা’ (বিভাগ) সরকার বাজুহার ৩২ টি পরগনার অন্যতম ব্রহ্মপুত্রের উত্তর পূর্ববর্তী পরগনার নাম হয় দশকাহনিয়া বাজু। অষ্টাশ শতাব্দীর সূচনায় দশকাহনিয়া বাজুর জায়গিরদার গাজী বংশের শেরআলী গাজীর নামানুসারে এই দশকাহনিয়া বাজুর নাম হয় শেরপুর।
মৌলভী বসিরুদ্দীনকৃত পারস্য ভাষায় লিখিত রামনাথের জমিদারি প্রাপ্তির বিবরণ অনুসরণ করে শ্রী বিজয় নাগ কর্তৃক রচিত ‘নাগ বংশের ইতিবৃত্ত’ (১৩৩৬), অধ্যাপক দেলওয়ার হোসেন রচিত ‘শেরপুরের ইতিকথা’ (১৯৬৯), পন্ডিত ফসিহুর রহমান লিখিত ‘শেরপুর জেলার অতীত ও বর্তমান’ (১৯৯০), ইত্যাদি গ্রন্থে শেরআলী গাজীর নামে শেরপুরের নামকরণ হয়েছে এই মতের স্বীকৃতি মেলে। ড. জীবন বল্লভ চৌধুরী সাহিত্যরত্ন অবশ্য এই মতের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন।তাঁর মতে শেরআলী গাজীর আবির্ভাবের আগে থেকেই এই পরগনা ‘দশকাহনিয়া শেরপুর নামে পরিচিত ছিল। শ্রী হরচন্দ্র চৌধুরী প্রণীত ‘শেরপুর বিবরণ’ (১২৭৯) গ্রন্থের বক্তব্য এই মতের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।
নবাব মুর্শিদ কুলি খাঁ শেরআলী গাজীর জায়গিরদারি বাতিল করে রামনাথ চৌধুরীকে শেরপুরের জায়গিরদারি অর্পণ করলে তার উত্তরসূরিরা শেরপুর পরগনার ভূম্যধিকারী (জমিদার) হন।
১৯২৫ সালে শেরপুর থানায় ১৩ টি ইউনিয়ন বোর্ড গঠিত হয়। বর্তমানে এই উপজেলায় ইউনিয়ন বোর্ডের সংখ্যা ১৪টি। ১৯৭৯ সালের ৪ জানুয়ারী শেরপুর সার্কেলকে মহকুমায় উন্নীত করা হয়। ১৯৮৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি শেরপুর থানা শেরপুর সদর উপজেলায় পরিণত হয়।
Planning and Implementation: Cabinet Division, A2I, BCC, DoICT and BASIS