ব্যবসা-বাণিজ্য
উত্তরে গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে দক্ষিণে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর পর্যন্ত বিস্তৃত এলাকার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র হচ্ছে শেরপুর টাউন। এখানে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে, গড়ে উঠেছে ব্যবসা-বাণিজ্র্য ভিত্তিক নানা শ্রেণীর সমাজ। এখানাকার প্রধান দুটো ব্যবসা হচ্ছে মোটর গাড়ির ব্যবসা ও রাইছ মিলের ব্যবসা। অটোমেটিক রাইছ মিল(বড় ধরণের)সংখ্যা ৫৫টি(রাইছ মিল ৩৫০টি। এছাড়াও আছে অন্যান্য প্রকারের মিল ফ্যাক্টরি। এই বিরাট এলাকায় অনুরƒবাণিজ্য কেন্দ্র না থাকায় এখানে অনেকগুলো ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, কাপড়ের দোকান, হার্ডওয়্যার মেশিনারিজ, সাইকেল স্টোর, স্বর্ণের দোকান, ইলেকট্টিক-ইলেকট্রনিক্সসহ বহুবিধ দোকানপাট। আছে বেশ কয়েকটি বড় আকারের ব্রিকফিল্ড ও পেট্টোল পাম্প। ক্ষুদ্র পেশাজীবীর সংখ্যাও অনেক। ভারত থেকে শেরপুরের ভেতর দিয়ে কয়লার আমদানি হওয়ায় এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাও বর্তমানে একটি বড় ব্যবসা মাধ্যমে পরিণত হয়েছে। শেরপুরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে মালিক-শ্রমিক ইউনিয়ন বা সমিতি। যেমন-বাস মালিক সমিতি(১৯৭২), জুয়েলারি সমিতি(১৯৯০), কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি(১৯৬৬), মিল মালিক সমিতি(১৯৭২) ইত্যাদি। সব মিলিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র হিসাবে শেরপুর জমজমাট। এখানে রয়েছে ব্যবসায়ীদের অন্যতম সংগঠন “শেরপুর চেম্বার অব কর্মাস এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ”।
থানা শহরটি ক্রমে জেলা শহরে রুপান্তিত হওয়ায় জেলা পর্যায়ের অফিস-কাচারি-ব্যাংক ও অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় এই শহরটিতে চাকুরিজীবীর সংখ্যাও কম নয়। এর একটি বড় অংশ স্থানীয় অধিবাসী। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি অফিস কাচারিতে শিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত চাকুরে ও অশিক্ষিত শ্রমজীবীর সংখ্যা এখানে অনেক। কাজেই শেরপুরের অর্থনৈতিক অবস্থার ক্ষেত্রে ধনী-গরিবের ব্যাপক বৈষম্য থাকলেও খেটে খাওয়া মানুষের শ্রমের ক্ষেত্র বিস্তৃত হওয়ায় তাদের ও বেঁচে থাকার মতো অবস্থা বিদ্যামান।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস